আতাউর রহমান ভাই একজন
পরিশ্রমী মানুষ। রাত-বিরাতে যখনই হোক, তাঁকে কল দিয়ে কোথাও পাঠালে, না নেই। ঊর্ধ্ব মুল্যের
বাজারে একদিকে বাবা-মা এবং নিজের পরিবারের খরচ যোগাতে গিয়ে ভদ্রলোক ঋণগ্রস্ত হয়ে
পড়েছেন। মড়ার উপর খড়ার ঘা হিসাবে তাঁর ভ্যানের ব্যাটারিটাও অচল হয়ে পড়ে...
তখন ভদ্রলোক মহা
দুশ্চিন্তায় পড়েন। নতুন ব্যাটারি কিনতে ২৫হাজার প্রয়োজন যেটা যোগাড় করা অসম্ভব
ভেবে সমিতি থেকে লোন নিয়ে সমাধানের চিন্তা করছিলেন। সমিতির ২৫হাজার টাকার লোন সুদ
বাবদ পরিশোধ করতে হবে ৮/৯ হাজার টাকা বেশি।
ভাগ্য ভালো যে
রাশেদুজ্জামান রণ ভাই ব্যাপারটা জানতে পেরে ফোন দিয়ে ডিটেইলস জানালেন কিন্তু
তৎক্ষণাৎ ২৫হাজার আমাদের ফান্ডে ছিলোনা বিধায় উনাকে না করে দেই, কিন্তু সত্যি কথা বলতে
খুব অস্বস্থি কাজ করছিলো সমিতির সুদের কথা টা জানার পর থেকে। কিছুক্ষণ পর রাশেদ
ভাইকে জানাই যে টাকাটা সপ্তাহ খানেকের মধ্যে ম্যানেজ করে দিলে হবে কিনা মানে কিছু
বাকি রাখা যাবে কিনা। রাশেদ ভাই বললেন খুবই সম্ভব যেহেতু ব্যাটারি যেখান থেকে কেনা
হবে তিনি উনার পরিচিত।
শুধু
তাই নয় রাশেদ ভাই উনার পরিচিত একজনের সাথে কথা বলে দারুন এক কাজ করেছেন, উনার মুখেই
শুনুন
"এদিকে
আমার অতি প্রিয় রঙিন মানুষের সাথে আলোচনা করে, আমরা একটা গেইম খেলার ব্যবস্থা
করি মানে রোজার মাসে ভদ্রলোক যা ইনকাম করবেন। আমরা তাঁর সমপরিমাণ ঋণ পরিশোধ করবো। যেই
কথা, সেই কাজ হিসাবে আজ ভদ্রলোকের হাতে আমরা উপহারের অর্থটা
বুঝিয়ে দিলাম।"
অর্থাৎ
২৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে আতাউর ভাইকে এখন শোধ করতে হবে মাত্র ১০ হাজার টাকা। কারন
আমরা ৫হাজার কম নিবো, রাশেদ ভাইদের দারুন আইডিয়া থেকে উনি পেয়েছেন ১০ হাজার টাকা। মহান আল্লাহ
এভাবেই পরিশ্রমী মানুষকে সাহায্য করেন বিভিন্ন উসিলায়।
No comments:
Post a Comment