মন্তু মিয়া , একজন অটো রিকশা চালক। প্রতিদিন মালিক কে ২০০ টাকা দিতে হয়। যেদিন রিকশা চালাতে
পারেন সেদিন কোন সমস্যা হয়না, ২০০ টাকা মালিক কে দিয়েও ভালো ভাবেই চলে যায় তার সংসার।
কিন্তু শারীরিক ভাবে কিছুটা দুর্বল মন্তু মিয়া মাঝে মাঝেই রিকশা চালাতে পারেন না। অসুস্থতার
কারনে অনিয়মিত বলে মালিক ও অন্য রিকশা চালককে রিকশা দিয়ে দেন, মানে সুস্থ থেকেও
মাঝে মাঝে রিকশা না থাকার কারনে বাড়িতে অলস সময় কাটাতে হয় তাঁকে। শারীরিক দুর্বলতার জন্য ম্যানুয়াল রিকশা চালানো
তার জন্য বেশ কষ্টকর।
One Taka Fund এর মাধ্যমে উনাকে ২০ হাজার টাকায় একটি Second Hand অটো
রিকশা কিনে দিয়ে তাঁকে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে জমা দেওয়ার প্রস্তাব দিলাম, উনি খুশি
মনেই রাজি হলেন, কারণ রিকশা টা তার কাছেই থাকবে, চালাতে না পারলেও ভাড়া দিয়ে অন্তত
২০০ টাকা আয় করতে পারবে । আমরা তাঁকে আরেকটি শর্ত দিলাম যে যদি তিনি প্রতিদিন ১৭০
টাকা করে দিতে পারেন তাহলে শুধু ৯০ দিনে ১৫০০০ টাকা দিলেই হবে (৯০*১৭০=১৫৩০০)। শর্ত
শুনে উনি খুশি হবার চেয়ে অবাকই হলেন বেশী । আমাদের যাকাত ফান্ড এ কিছু টাকা ছিল তাই ৫০০০
টাকার সুযোগ টা আমরা তাঁকে দিতে চেয়েছি । কারণ আমাদের যাকাত ফান্ড থেকে আমরা যে সাহায্য
গুলো করে থাকি সেগুলো আমরা ফেরত নেই না , একেবারেই দান করা হয়।
যদিও মন্তু মিয়া
৯০ দিনে ১৫০০০ টাকা শোধ করতে পারেন নাই, ১০৫ দিনে শোধ করে দিয়েছেন আর নিজেই হয়ে
গেছেন রিকশার মালিক। এখন আর তাঁকে অন্যের রিকশা না পাওয়ার মানসিক ভয় কাজ
করেনা। নিজের রিকশা নিজেই চালান, যখন খুশি তখন চালান। বরং অসুস্থ থাকলে
রিকশা ভাড়া দিয়ে ২০০ টাকা আয় হয়। যাকাত ফান্ডের কারনে আমরাও পেরেছি আরও সহজ শর্তে
মন্তু মিয়াকে রিকশার মালিক করে দিতে সক্ষম হয়েছি।
মন্তু মিয়ার রিকশার
মালিক বনে যাওয়াই আমাদের Story of Happiness