সবজি বিক্রেতা
হালিমা খাতুন। কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার গাছতলা ঘাট বাজারে সকাল বেলা সবজি বিক্রি
করেন পরিবারে বাড়তি কিছু রোজগারের আশায়। ঘর সংসারের কাজ তো রয়েছেই।
বাংলাদেশে মহিলারা বাইরে কাজ করলেও গৃহের সব কাজ তাদেরকেই করতে হয়।
মাত্র
১ হাজার টাকা দিয়েও যে কাউকে উপার্জনে সহায়তা করা সম্ভব সেটা জানা হতোনা যদি না
হালিমা খাতুনের সাথে কথা না হতো।
ছোট্ট
একটা দুর্ঘটনা হালিমা খাতুনের জন্য বড় কষ্টের কারন হয়ে দাঁড়ায়। সবজি বিক্রির
৫০০০ টাকা চুরি হয়ে যাওয়াতে সবজি কেনার মূলধনটাই শেষ হয়ে গেছে মুহূর্তেই। হালিমা
খাতুনদের কেউ ঋণ দিতে চায় না (সুদের) শর্ত ছাড়া।
আমরা
উনাকে টাকাটা ধার দিতে চেয়েছি সবজির ব্যবসাটা যেন থেমে না যায়। কিন্তু অবাক করা
বিষয় উনি আমাদের কাছে ধার নিয়েছেন মাত্র ১ হাজার টাকা। কারণ হালিমা খাতুন ঋণী হতে
ভয় পান। ১ টাকাও বাড়তি দিতে হবেনা এটাই তাঁর কাছে বিরাট ব্যপার তার উপর যতো দিনে
খুশি ততো দিনে ফেরত দিলেই চলবে এটা শুনে মনে হল ভুল কিছু শুনছেন। আমরা চাচ্ছিলাম উনি
নিজেই ঠিক করবেন কত করে ফেরত দিবেন। উনি খুশি মনেই বললেন প্রতিদিন ১০ টাকা করে ফেরত
দিয়ে দিবেন ১০০ দিনে ১০০০ টাকা।
গত ২৬
শে ডিসেম্বর টাকাটা দেওয়ার পর একদিন ও উনি টাকা ফেরত দিতে ভুল করেন নি। ১ টাকা
ফান্ডের জন্য একটা শিক্ষণীয় ব্যপার যে, মানুষকে বিপদের
সময় সাহায্য করলে সেটা যত কমই হউক মানুষ সেটা মনে রাখে।
এই
অল্প টাকা দিয়ে আমরা কোন বাহবা চাইনা, কিন্তু এতো অল্প টাকা দিয়েও যে একজনের বিপদে
পাশে দাঁড়াতে পেরেছি(হালিমা খাতুন থেমে যাননি ) এতেই আমরা খুশি।
আপনিও
আসুন আমাদের সাথে, অসহায় মানুষের বিপদে অল্প হলেও সাহায্য করে তাদের জীবনে Story of Happiness এর গল্প বানাতে।