You can Choose One Taka Fund for donating your Zakat Fund to make someone Self Dependent

Thursday, April 20, 2023

জনাব আকতার আলীর বন্ধ দোকান চালু হয়েছে

রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার বখশীগঞ্জ গ্রামের জনাব আকতার আলী বর্তমানে পেশায় দিনমজুর হলেও উনার একটি দোকান ছিলো, প্রায় ২ বছর আগে টাকার অভাবে মালামাল কিনতে না পেরে দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন।

 আকতার আলীর দুইটি সন্তান বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। তাঁদের দেখাশোনার জন্য দিনমজুর পেশার চেয়েও দোকান টা চালু করতে পারলে অনেক উপকার হতো কারন উনার স্ত্রীকে সন্তানদের একা সামলানো খুবই কষ্ট সাধ্য ব্যাপার। এই তথ্যটা আমরা জেনেছি রাকিবুল হাসানের কাছ থেকে(উল্লেখ্য যে রাকিবুল হাসানের কাছ থেকে জেনেই উনার দুই সন্তানকে আমরা দুইটি হুইল চেয়ার উপহার দিয়েছিলাম)।

এরই ধারাবাহিকতায় আমরা গত ১৪ই এপ্রিল জনাব আকতার আলীকে দোকানটা নতুন করে চালু করার ১ম পর্যায়ে কিছু মালামাল কিনে দিয়েছি। মালামাল গুলি উনার চাহিদা মাফিকই কিনে দিয়েছি।



১ম পর্যায়ে কিনে দেওয়া মালামালের মধ্যে রয়েছে

০১। গুড় ০২। ভূষি ০৩। সয়াবিন তেল ০৪। সাবান ০৫। লবন ০৬। কয়েল

০৭। প্লাস্টিক সুতলি ০৮। পাটের সুতলি ০৯। চিনি ১০। ডাল ১১। টুথ পাউডার

১২। কাপড় কাচা সাবান ১৩। কাপড় কাচার পাউডার ১৪। টুথব্রাশ

মালামাল বুঝিয়ে দেয়ার পর রাকিবুল হাসানের মাধ্যমে জনাব আকতার আলীর সাথে ভিডিও কলে কথা বলার সময় উনি কোন কথা বলতে পারছিলেন না, উনার চোখে মুখে যে কৃতজ্ঞতা দেখেছি তা আসলে কথা বলার চেয়েও অনেক অনেক বেশি কিছু ছিলো। এতো অল্পতে কেউ এতো খুশি হতে পারে না দেখলে বিশ্বাস হবেনা কারো।

আমরা পরবর্তীতে উনার দোকানে আরও কিছু মালামাল কিনে দিবো। উল্লেখ্য যে আকতার আলীর দোকানটা আমরা আমাদের No Return Fund (এই ক্ষেত্রে যাকাত ফান্ড থেকে দিয়েছি)।

আল্লাহ তা'আলা দাতার দানকে কবুল করুন, দুনিয়া ও আখেরাতে উত্তম বিনিময় দান করুন আমীন।

We are Grateful to Towhidul Islam Paurag

We are Grateful to Towhidul Islam Paurag for Choosing One Taka Fund to donate his Zakat.



Wednesday, April 19, 2023

আতাউর ভাইকে সমিতির সুদ থেকে দূরে রাখার ক্ষুদ্র প্রয়াস

আতাউর রহমান ভাই একজন পরিশ্রমী মানুষ। রাত-বিরাতে যখনই হোক, তাঁকে কল দিয়ে কোথাও পাঠালে, না নেই। ঊর্ধ্ব মুল্যের বাজারে একদিকে বাবা-মা এবং নিজের পরিবারের খরচ যোগাতে গিয়ে ভদ্রলোক ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। মড়ার উপর খড়ার ঘা হিসাবে তাঁর ভ্যানের ব্যাটারিটাও অচল হয়ে পড়ে...

তখন ভদ্রলোক মহা দুশ্চিন্তায় পড়েন। নতুন ব্যাটারি কিনতে ২৫হাজার প্রয়োজন যেটা যোগাড় করা অসম্ভব ভেবে সমিতি থেকে লোন নিয়ে সমাধানের চিন্তা করছিলেন। সমিতির ২৫হাজার টাকার লোন সুদ বাবদ পরিশোধ করতে হবে ৮/৯ হাজার টাকা বেশি।

ভাগ্য ভালো যে রাশেদুজ্জামান রণ ভাই ব্যাপারটা জানতে পেরে ফোন দিয়ে ডিটেইলস জানালেন কিন্তু তৎক্ষণাৎ ২৫হাজার আমাদের ফান্ডে ছিলোনা বিধায় উনাকে না করে দেই, কিন্তু সত্যি কথা বলতে খুব অস্বস্থি কাজ করছিলো সমিতির সুদের কথা টা জানার পর থেকে। কিছুক্ষণ পর রাশেদ ভাইকে জানাই যে টাকাটা সপ্তাহ খানেকের মধ্যে ম্যানেজ করে দিলে হবে কিনা মানে কিছু বাকি রাখা যাবে কিনা। রাশেদ ভাই বললেন খুবই সম্ভব যেহেতু ব্যাটারি যেখান থেকে কেনা হবে তিনি উনার পরিচিত।




শুরু হলো আতাউর ভাইয়ের Story of Happiness 

আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেহেতু উনার কিছু বাড়তি ঋণ রয়েছে আমরা ২৫হাজার টাকা সবটা ফেরত নিবো না, যাকাত ফান্ড থেকে ৫০০০টাকা adjust করবো। সমিতি থেকে লোন নিলে হয়তো নিয়মিত টাকা শোধ করতে পারলেও ৮/৯ হাজার টাকা বাড়তি দিতে হতো, এখন সেটা ৫হাজার টাকা কমেই হয়ে যাবে।


শুধু তাই নয় রাশেদ ভাই উনার পরিচিত একজনের সাথে কথা বলে দারুন এক কাজ করেছেন, উনার মুখেই শুনুন

"এদিকে আমার অতি প্রিয় রঙিন মানুষের সাথে আলোচনা করে, আমরা একটা গেইম খেলার ব্যবস্থা করি মানে রোজার মাসে ভদ্রলোক যা ইনকাম করবেন। আমরা তাঁর সমপরিমাণ ঋণ পরিশোধ করবো। যেই কথা, সেই কাজ হিসাবে আজ ভদ্রলোকের হাতে আমরা উপহারের অর্থটা বুঝিয়ে দিলাম।"

অর্থাৎ ২৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে আতাউর ভাইকে এখন শোধ করতে হবে মাত্র ১০ হাজার টাকা। কারন আমরা ৫হাজার কম নিবো, রাশেদ ভাইদের দারুন আইডিয়া থেকে উনি পেয়েছেন ১০ হাজার টাকা। মহান আল্লাহ এভাবেই পরিশ্রমী মানুষকে সাহায্য করেন বিভিন্ন উসিলায়।


আবারো ইফতার, রাতের খাবার ও সেহরির মেহমান বাচ্চারা

১৮ই এপ্রিল(২৬তম রোজায়) গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হিয়াতপুর গ্রামে এতিমখানা+মাদ্রাসায় আবারো ২৫জন বাচ্চাকে মেহমানদারীর সুযোগ পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত।



এবারো বাচ্চাদের আমরা ইফতার এর পাশাপাশি রাত ও সেহেরির খাবারের ব্যবস্থা করেছিলাম রাশেদুজ্জামান রণ ভাইয়ের তত্ত্বাবধানে। বাচ্চাদের পছন্দ অনুযায়ী মেনুর আয়োজন করার জন্য রাশেদুজ্জামান রণ ভাইয়ের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।

বন্ধু  মোঃ তৌহিদুল ইসলাম পরাগ কে ধন্যবাদ বাচ্চাদের মেহমানদারীর দায়িত্ব নেওয়ার জন্য। 

পাশাপাশি আমাদের নিয়মিত আয়োজনের অংশ হিসেবে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে সাইফ ও তাঁর পরিবারের তত্ত্বাবধানে ১৭ই এপ্রিল ২০জন এবং ১৮ই এপ্রিল ৬৫জন মেহমানকে ইফতার আপ্যায়ন করা হয়েছে যথাক্রমে ভাত ও মাছের তরকারি দিয়ে এবং বিফ খিচুড়ি দিয়ে। খেজুর, শসা, সরবত সাথে ছিলো দুইদিনই(পড়ুন প্রতিদিনই)। 



Monday, April 17, 2023

২২শে রোজা(১৪ই এপ্রিল) ইফতার আপডেট

রাশেদুজ্জামান রণ ভাইয়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গত ২২শে রোজা(১৪ই এপ্রিল) বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার শিচারপাড়া(৩৫জন) এবং গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হিয়াতপুর(৭০জন) গ্রামের ১০৫জন মেহমানকে ইফতার ও সন্ধ্যা রাতের খাবার উপহার দেওয়া হয়।


মেন্যুঃ

খেজুর, শসা, তরমুজ, মালটা, আপেল, কলা, ছোলা, বুন্দিয়া ও পিঁয়াজু।
সাদা ভাত, আলু দিয়ে গরুর মাংস...
 



ইচ্ছা শক্তি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও হিয়াতপুর সোসাইটির সকলের প্রতি রইল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা..

 

অন্যদিকে কুড়িগ্রামে আমাদের নিয়মিত আয়োজনের অংশ হিসেবে নাগেশ্বরীর বেরুবাড়িতে ৭০জন মেহমানকে ইফতার করানো হয় খেজুর,শশা,সরবত ও বিফ বিরিয়ানি(তেহারি) দিয়ে। 

সাইফ ও তার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেষ করা যাবেনা প্রতিদিন এই আয়োজনের কষ্ট ভোগ করার জন্য। 


Gratitude to our Donors for Sharing their Iftar

 


Friday, April 14, 2023

ছোট ছোট মেহমানদের আপ্যায়ন

১৩ই এপ্রিল(২১তম রোজায়) গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হিয়াতপুর গ্রামের একটি এতিমখানা+মাদ্রাসায় ২৫জন বাচ্চাকে মেহমানদারীর সুযোগ পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত। বাচ্চাদের আমরা ইফতার এর পাশাপাশি রাত ও সেহেরির খাবারের ব্যবস্থা করেছিলাম রাশেদুজ্জামান রণ ভাইয়ের তত্ত্বাবধানে। বাচ্চাদের পছন্দ অনুযায়ী মেনুর আয়োজন করার জন্য রাশেদুজ্জামান রণ ভাইয়ের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। ছবিতেই রয়েছে বাকি গল্প। 




Courtesy::  Towhidul Islam Paurag । 

Wednesday, April 12, 2023

স্বল্প বাজেটের ইফতার/বাজার উপহার

যদিও One Taka Fund এর উদ্দেশ্য হচ্ছে সৎ ও দরিদ্র মানুষদের বিনা সুদে স্বল্প ব্যবসায়িক পুঁজি দিয়ে স্বাবলম্বী করতে সাহায্য করা, দান করা নয়।

তবে No Return Fund(Gift Fund/Zakat Fund) এ টাকা থাকা সাপেক্ষে আমরা উপহার হিসেবে দিয়ে থাকি মাঝে মাঝে


এরই অংশ হিসেবে গত ৫ই এপ্রিল রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার বকশীগঞ্জ গ্রামে ২৫ টি পরিবারকে রাকিবুল হাসানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে স্বল্প বাজেটের ইফতার/বাজার উপহার দেওয়া হয়েছে।


২৫ টি পরিবারকে দেওয়া ইফতার/বাজার সামগ্রী
১.ছোলা ৫০০ গ্রাম
২.ডিম ৪ টা
৩.খেজুর ৫০০ গ্রাম
৪.ডাল ৫০০ গ্রাম
৫.মুড়ি ৫০০ গ্রাম
৬.আলু ২ কেজি
৭.টমেটো ১ কেজি
৮. মিষ্টি কুমড়া ২ কেজি
৯.পিয়াজ ৫০০ গ্রাম
১০.মরিচ ৫০০ গ্রাম

 



 

গত ২৮শে মার্চও এই ২৫ টি পরিবারকে(১২টি পরিবারের জন্য আমাদের Gift Fund থেকে দেওয়া হয়েছে) রাকিবুল হাসানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে স্বল্প বাজেটের ইফতার/বাজার উপহার দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৩ টি পরিবারকে রাকিবুল হাসান নিজেই দিয়েছেন।


১২টি পরিবারকে দেওয়া ইফতার/বাজার উপহার সামগ্রী

১.ডাল ৫০০ গ্রাম

২.তেল ৫০০ গ্রাম

৩.চিড়া ৫০০ গ্রাম

৪.চিনি ৫০০ গ্রাম

৫.মুড়ি ৫০০ গ্রাম

৬.ছোলা ৫০০ গ্রাম

৭.খেজুর ৫০০ গ্রাম

৮. ডিম ৪ টা

ইফতার/বাজার সামগ্রী উপহার পেয়ে অসহায় মানুষ গুলো অনেক খুশি হয়েছেন।