মোঃ শফিকুল ইসলাম,
পেশায় রাজ মিস্ত্রী । বয়সের কারনে আগের মতো বেশী পরিশ্রম করতে পারেন না বলে এখন আর
প্রতিদিন কাজ ও পান না। যেদিন কাজে যান সেদিন কিছু আয় হয়, আর বাকী দিন গুলোতে বেকার
বসে থাকতে হয় বাড়িতেই। আয় রোজগার কমে যাওয়ায় বয়সের সাথে সাথে মানসিক ভাবেও দুর্বল হয়ে
গেছেন । বেশ কিছু ঋণ ও করেছেন মানুষের কাছে। সপ্তাহে ২/১ দিন কাজ যা
পান তা দিয়ে সংসার চালানোই দায় যেখানে সেখানে তো ঋণ শোধ করা কল্পনা প্রসূত ব্যপার।
আমাদের
কাছেও শুরু তে তিনি কিছু টাকা সাহায্যই চেয়েছিলেন, কিন্তু আমরা চাচ্ছিলাম উনি কিছু
একটা কাজ করুক বেকার বসে না থেকে। কাজ কি করবেন সেটাও ভাবছিলেন কারন উনি তো রাজ
মিস্ত্রির কাজ ছাড়া অন্য কিছু কখনো করেন নি। খুশির ব্যপার হচ্ছে উনি নিজেই বুদ্ধি
করে বের করলেন আড়ত/চক থেকে মাছ কিনে এনে বাজারে এনে বিক্রি করবেন।
আমরা
উনাকে ৫০০০ টাকা দিয়েছি One Taka Fund থেকে মাছ বিক্রির জন্য। সেই টাকা থেকে ৩০০০/৩৫০০ টাকার
মাছ কিনে এনে বাজারে বিক্রি করলে উনার ৩০০/৩৫০ টাকা লাভ থাকে প্রতিদিন। সময়টা ও
খুব বেশী না, সকাল ১১ টার মধ্যেই উনার মাছ বিক্রি হয়ে যায়। শারীরিক পরিশ্রম টাও
রাজ মিস্ত্রির কাজের তুলনায় অনেক কম হয়। তবে রাজ মিস্ত্রির কাজে আয় বেশী হয়, ৫০০
টাকা প্রতিদিন। তাই যেদিন উনি কাজ পান সেদিন উনার আসল পেশাটাই বেছে নেন, কাজ না
পেলে মাছ বিক্রি করেন।
মোঃ শফিকুল ইসলাম এখন আর বেকার নন এটাই আমাদের প্রাপ্তি। উনিও আমাদের টাকাটা ফেরত দিয়ে
দেবেন আস্তে আস্তে, যদিও আমরা তাঁকে কোন রকম জোর করছি না, উনার যেভাবে সুবিধা, যতো
দিনে সুবিধা হয় তত দিনে দিবেন।
আরেকটা
কাকতালীয় খুশির খবর না বলে পারছিনা। মোঃ শফিকুল ইসলাম এখন আগের চেয়ে কাজ বেশী পাচ্ছেন কোন কারন ছাড়াই। এছাড়াও উনার মানসিক অবস্থা
আগের চেয়ে অনেক ভালো কারন উনি জানেন উনি এখনও উপার্জন করতে সক্ষম, রাজ মিস্ত্রির
কাজ না পেলেও উনি বেকার নন।
এটাই Story of Happiness for One Taka Fund
এটাই Story of Happiness for One Taka Fund
No comments:
Post a Comment