পরিবারের উপার্জনক্ষম একমাত্র ব্যক্তি মারা গেলে
জীবন যে কত কঠিন হয়ে যায় ফাতেমা বেগম তাঁর জীবনের প্রতিটি দিন সেটা বুঝতে
পারছেন। স্বামী মারা যাওয়ার ১ বছর পার হতে না হতেই তিনি তাঁর চার সন্তান নিয়ে অথৈ সাগরে
পড়েছেন। না পারছেন কারো কাছে হাত পাততে, না পারছেন কোন উপার্জনের ব্যবস্থা করতে।
চার সন্তানই ছোট, কাজ করে উপার্জন করা তাদের পক্ষেও সম্ভব না। বর্তমানে তাঁর উপার্জনের
একমাত্র উপায় নিজের জানা সেলাই কাজ। নিজের সেলাই মেশিনে নিজ গ্রামের মেয়ে /
মহিলাদের কাপড় সেলাই করে কোনমতে তিনি দিনাতিপাত করছেন। আসলে শুধু গ্রামের মেয়েদের
কাপড় সেলাই করে তিন বেলা খাবার জোটানো বর্তমান সময়ে সম্ভবও নয়। তার উপর ফাতেমা
বেগমের মত রক্ষণশীল কারো জন্য বাজারে দোকান নিয়ে বাংলাদেশের সমাজ
ব্যবস্থায় প্রায় অসম্ভব।
১ টাকা ফান্ডের পক্ষ থেকে উনার
কাছে আমরা জানতে চেয়েছিলাম আমরা কোনভাবে তাঁকে সাহায্য করতে পারি কিনা। উনি সংকোচ
নিয়েই বললেন কিছু টাকা ধার পেলে তিনি কিছু কাপড় কিনতেন। সেই কাপড় বিক্রির পাশাপাশি
তাঁর সেলাই এর অর্ডার ও হয়তো বেশী পাবেন। আমরা তাঁকে টাকার পরিমানটা জিগ্যেস করতে
উনি আরও সংকোচ নিয়ে বললেন ৪/৫ হাজার টাকা হলেই উনি শুরু করতে পারবেন। আমরা যখন বললাম
উনাকে আমরা ৫০০০ টাকা দিবো, উনি যারপর নাই খুশি হলেন।
৩রা ডিসেম্বর আমরা উনার হাতে
৫০০০ টাকা দিয়েছি যা দিয়ে তিনি কাপড় কিনে শুরু করলেন তাঁর কাপড় বিক্রির ব্যবসা।
আসলে কাপড় বিক্রির উদ্দেশ্য কিন্তু একটু বেশী কাপড় সেলাই এর অর্ডার পাবার আশাতেই।
আমরাও একটু সন্দিহান ছিলাম
আসলেই কি তাঁর বিক্রি হবে/ কিংবা সেলাই এর অর্ডার বেশী পাবেন!
কিন্তু খুশির ব্যপার ফাতেমা বেগম এর ব্যস্ততা বেড়ে গেছে কাপড় বিক্রি শুরু করার পর থেকে, মানে উনি এখন বেশি বেশি কাপড় সেলাই এর অর্ডার পাচ্ছেন। যারা কাপড় কিনছেন তাদের অধিকাংশই ফাতেমা বেগম এর কাছেই কাপড় বানানোর অর্ডার করছেন। আর ফাতেমা বেগমের আয় ও বেড়েছে গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা প্রতিদিন। উনিও বাড়তি আয় থেকে প্রতিদিন ২০/২৫ টাকা করে আমাদেরকে ফেরত দিয়ে দিচ্ছেন, উনি কারো দানে ব্যবসা করতে চান না, আমাদেরকে উনি ধারের টাকা ফেরত দিচ্ছেন যত টুকু দিতে উনার কোন কষ্ট না হয়।
আমরা(ব্লগ/ফেসবুক ব্যবহার কারী) যারা ফাতেমা বেগমের Story of Happiness এর গল্পটা পড়ছি তারা হয়তো ভাবছি ১৫০/২০০ আর এমন কি ? আমাদের কাছে এই সামান্য টাকা আসলে কিছুই না, কিন্তু ফাতেমা বেগমের মতো এমন অসংখ্য মানুষ আছেন যাদের কাছে প্রতিদিন এই পরিমান টাকাই স্বপ্নের মতো।
জেনে খুশি হবেন বাংলাদেশের অনেক বড় বড় শিল্পপতিরা যেখানে ঋণ খেলাপী হয়ে অর্থের পাহাড় বানাচ্ছে অথচ ফাতেমা বেগমের মতো অসহায় মানুষরা ঋণ মুক্ত হওয়ার সংগ্রাম করেও সন্তুষ্ট থাকেন অল্পতেই। তাই তো ফাতেমা বেগম ইতিমধ্যে ৫০০ টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছে আমাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ।যখন ৫০০০ টাকা ফেরত দিয়ে দিবেন তখন তাঁর আয় বেড়ে যাবে আরও ২০/২৫ টাকা প্রতিদিন, এতেই তিনি তৃপ্ত। সেই টাকা আমরা দিবো অন্য কোন মানুষের Story of Happiness বানাতে।কিন্তু খুশির ব্যপার ফাতেমা বেগম এর ব্যস্ততা বেড়ে গেছে কাপড় বিক্রি শুরু করার পর থেকে, মানে উনি এখন বেশি বেশি কাপড় সেলাই এর অর্ডার পাচ্ছেন। যারা কাপড় কিনছেন তাদের অধিকাংশই ফাতেমা বেগম এর কাছেই কাপড় বানানোর অর্ডার করছেন। আর ফাতেমা বেগমের আয় ও বেড়েছে গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা প্রতিদিন। উনিও বাড়তি আয় থেকে প্রতিদিন ২০/২৫ টাকা করে আমাদেরকে ফেরত দিয়ে দিচ্ছেন, উনি কারো দানে ব্যবসা করতে চান না, আমাদেরকে উনি ধারের টাকা ফেরত দিচ্ছেন যত টুকু দিতে উনার কোন কষ্ট না হয়।
আমরা(ব্লগ/ফেসবুক ব্যবহার কারী) যারা ফাতেমা বেগমের Story of Happiness এর গল্পটা পড়ছি তারা হয়তো ভাবছি ১৫০/২০০ আর এমন কি ? আমাদের কাছে এই সামান্য টাকা আসলে কিছুই না, কিন্তু ফাতেমা বেগমের মতো এমন অসংখ্য মানুষ আছেন যাদের কাছে প্রতিদিন এই পরিমান টাকাই স্বপ্নের মতো।
আপনিও আসুন ONE TAKA FUND এ প্রতিদিন মাত্র ১ টাকা দিয়ে অন্যের সুখের গল্প বানাতে।
No comments:
Post a Comment