মরজিনা বেগম , দেশের বাড়ি
মাদারীপুর জেলায়। থাকেন ঢাকার মাদারটেক। এক ছেলে এক মেয়ে । স্বামী রিকশাচালক, কিন্তু
শারীরিক ভাবে দুর্বল ও অসুস্থতার জন্য সবসময় রিকশা চালাতে পারেন না। টাই সংসারের খরচ
চালাতে মরজিনা বেগমকে বেশ কয়েকটি বাসায় কাজ করেন পাশাপাশি একটি অফিসে রান্নার কাজ করেন
ছেলেকে পড়ালেখা করাবেন এই আশায়। ছেলে এইবার এসএসসি পাশ করেছে। সব মিলিয়ে উনার সংসার
ভালোই চলছে কিন্তু এক আত্মীয় বিপদে পড়ায় বিশ হাজার টাকা ধার চায় মরজিনা বেগমের কাছে।
যদিও সেই আত্মীয় ভালো করেই জানে যে তার পক্ষে এতো টাকা একসাথে ধার দেয়া সম্ভব নয়, তাই মরজিনা বেগমকে বলল অন্য কোথাও থেকে সুদের
উপর হলেও যেন টাকাটা এনে দেয়। সুদসহ সব ধার ঐ আত্মীয়ই শোধ করবে সময়মত । এই আশ্বাসে
মাসিক ২ হাজার টাকা সুদে ২০ হাজার টাকা এনেও দিয়েছে কিন্তু সেই
আত্মীয় গত ৫ মাসে এক টাকা ও শোধ করেনি উল্টো সুদের টাকা বাবদ মরজিনাকে ১০ হাজার
টাকা দিতে হয়েছে। আসল ঋণ ১ টাকাও কমেনি ।
One
Taka Fund এর উদ্দেশ্য হচ্ছে সৎ ও দরিদ্র মানুষদের বিনা সুদে স্বল্প
ব্যবসায়িক পুঁজি দিয়ে স্বাবলম্বী করতে সাহায্য করা ।
কিন্তু মরজিনা বেগমকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে আমাদের সংজ্ঞাটার
ব্যত্যয় হয়েছে বলা যায়। আমরা তাকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছি সমিতির ঋণ
শোধ করার জন্য। তাকে সুদের বিপদ থেকে রক্ষা করতে এই সাহায্যটা দিয়েছি One Taka Fund থেকে।
গত ২৫
শে এপ্রিল সাহায্য করেছি ইতিমধ্যে (৫ই মে) ১৫০০ টাকা আমাদেরকে উনি ফেরত দিয়ে
দিয়েছেন যেটা উনি মাসিক সুদ হিসেবে সমিতিতে দিতেন। এভাবেই অল্প অল্প করে আমাদের ২০
হাজার টাকা ফেরত দিয়ে দিবেন অন্যদের মতোই।
One Taka Fund এর প্রতি মুগ্ধ হয়ে মরজিনা
বেগম আমাদেরকে প্রতিদিন ২ টাকা করে দান করবেন (তিনি ও তার ছেলের হয়ে)।
আমরা মরজিনা বেগমকে স্বাবলম্বী করতে সাহায্য করিনি
ঠিক কিন্তু তার সুদের বোঝা নামিয়ে দিতে সাহায্য
করতে পেরেও আমরা খুশি।
এটাই Happiness is Helping
others এটাই Story of Happiness.